উচ্চমাধ্যমিক পাশ যোগ্যতায় বিভিন্ন সরকারি চাকরি, শীগ্রই দেখে করুন আবেদন | 12 Pass Govt Jobs
যেসকল চাকরি প্রার্থীরা উচ্চমাধ্যমিক পাশ যোগ্যতায় সরকারি চাকরির (12 Pass Govt Jobs) খোঁজ করছেন এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তাদের জন্য। পশ্চিমবঙ্গে অনেক চাকরি প্রার্থীই রয়েছেন যারা ন্যুনতম উচ্চমাধ্যমিক তথা দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ আমরা উচ্চমাধ্যমিক পাশে রাজ্যে এবং গোটা দেশে মূলত কী কী সরকারি চাকরির সুযোগ রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে এখনই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান, বিস্তারিত বিবরণ নিচে তুলে ধরা হয়েছে।
দ্বাদশ/ উচ্চমাধ্যমিক পাশে বিভিন্ন চাকরি (12 Pass Govt Jobs)
উচ্চমাধ্যমিক তথা দ্বাদশ পাশ করার পর বিভিন্ন ধরণের এবং প্রচুর সরকারি চাকরির সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে নিচে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চাকরি তথা নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
রেল বিভাগে চাকরি (Railway Jobs)
1. রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (RRB) পরীক্ষা: RRB বিভিন্ন পদের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা পরিচালনা করে। যেমন গ্রুপ D, সহকারী লোকো পাইলট (ALP), এবং টেকনিশিয়ান ইত্যাদি৷
2. শিক্ষানবিশ: ভারতীয় রেল ফিটার, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার এবং আরও অনেক কিছুর মতো বিভিন্ন ট্রেডে শিক্ষানবিশ প্রোগ্রাম অফার করে। আপনি সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে বিভাগের মাধ্যমে এই প্রোগ্রামগুলির জন্য আবেদন করতে পারেন।
3. টিকিট কালেক্টর (TC) বা টিকিট পরীক্ষক (TE): আপনি TC বা TE এর মতো পদের জন্য আবেদন করতে পারেন, যার মধ্যে টিকিট চেকিং এবং যাত্রী সহায়তা জড়িত।
4. কমার্শিয়াল ক্লার্ক: এই ভূমিকার সাথে রেলওয়ে স্টেশনে টিকিটিং এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পর্কিত কেরানির কাজ জড়িত।
5. জুনিয়র ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট: আপনার যদি ভালো টাইপিং দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি এই পদটি বিবেচনা করতে পারেন, যার মধ্যে করণিক দায়িত্ব জড়িত।
6. গুডস গার্ড: গুডস গার্ডরা মালবাহী ট্রেনের চলাচল পরিচালনা এবং কার্গো নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দায়ী৷
7. সহকারী স্টেশন মাস্টার (ASM): ASM গুলি রেলওয়ে স্টেশনগুলির মসৃণ কাজকর্মে সহায়তা করে, যার মধ্যে ট্রেন চলাচল এবং যাত্রী পরিষেবা রয়েছে৷
8. টেকনিশিয়ান: আপনার যদি প্রযুক্তিগত ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে, তাহলে আপনি টেকনিশিয়ান পদের জন্য আবেদন করতে পারেন যেখানে ট্রেন এবং রেলের যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ জড়িত।
9. ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণকারী: ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণকারীরা রেলওয়ে ট্র্যাক এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দায়ী থাকে।
ব্যাংকে চাকরি (Bank Jobs)
1. ব্যাঙ্ক ক্লার্ক: ভারতের অনেক সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক করণিক পদের জন্য নিয়োগ পরিচালনা করে। একজন ব্যাঙ্ক ক্লার্ক হিসাবে, আপনার দায়িত্বগুলির মধ্যে গ্রাহক পরিষেবা, রেকর্ড রাখা এবং মৌলিক অ্যাকাউন্টিং কাজগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
2. ব্যাঙ্ক গ্রাহক পরিষেবা প্রতিনিধি: এই ভূমিকার মধ্যে গ্রাহকদের তাদের ব্যাঙ্কিং লেনদেনে সহায়তা করা, অনুসন্ধানের সমাধান করা এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং পণ্য ও পরিষেবার তথ্য প্রদান করা জড়িত৷
3. ডেটা এন্ট্রি অপারেটর: ব্যাঙ্কগুলি প্রায়ই ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করে যাতে গ্রাহকের তথ্য এবং আর্থিক ডেটা সঠিকভাবে তাদের সিস্টেমে ইনপুট করা যায়।
4. ফ্রন্ট ডেস্ক এক্সিকিউটিভ: এই ভূমিকায়, আপনি একটি ব্যাংক শাখায় ফ্রন্ট ডেস্ক পরিচালনা করবেন, গ্রাহকদের স্বাগত জানাবেন, অনুসন্ধানগুলি পরিচালনা করবেন এবং নিয়মিত প্রশাসনিক কাজে সহায়তা করবেন।
5. টেলিকলার: ব্যাঙ্কগুলি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে গ্রাহকদের আউটবাউন্ড কল করার জন্য টেলিকলারদের নিয়োগ করে, যেমন ব্যাঙ্কিং পণ্যের প্রচার, লেনদেন নিশ্চিত করা, বা সমীক্ষা পরিচালনা করা।
6. সেলস এক্সিকিউটিভ: কিছু ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের কাছে ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক পণ্যের প্রচার ও বিক্রি করার জন্য সেলস এক্সিকিউটিভ নিয়োগ করে।
7. পিয়ন/অফিস অ্যাটেনডেন্ট: এই পদগুলির মধ্যে সাধারণ অফিস রক্ষণাবেক্ষণের কাজগুলি যেমন নথি সরবরাহ করা, মেইল পরিচালনা করা এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জড়িত।
SSC -তে নিয়োগ (SSC Recruitment)
1. SSC Combined Higher Secondary Level (CHSL):
SSC CHSL চাকরিতে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা, বয়সসীমা এবং আবেদন পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীদের অবশ্যই একটি স্বীকৃত বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
বয়স সীমা: প্রার্থীর বয়স হতে হবে 18 থেকে 27 বছর এর মধ্যে। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীদের জন্য বয়সে ছাড় দেওয়া হবে।
বেতন: SSC CHSL চাকরিতে পদের বেতন 7ম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের (CPC) পে লেভেল 2-এর অধীনে পড়ে।
- LDC/JSA পদে নিযুক্ত হওয়ার পর পর কর্মীদের মাসিক গড় বেতন 5,200/- থেকে 20,200/- টাকা, সঙ্গে গ্রেড পে রয়েছে। সেক্ষেত্রে সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ 29,000/- টাকা থেকে মাসিক বেতন শুরু হতে পারে।
- অন্যদিকে, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর (DEO), পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (PA) এবং সর্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (SA) পদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মাসিক বেতন 36,500/- টাকা অব্দি হতে পারে।
নির্বাচন প্রক্রিয়া: SSC CHSL লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক (LDC) ও জুনিয়র সেক্রেটারিয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট (JSA) পদের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া তিনটি ধাপ নিয়ে গঠিত:
i. স্তর-১ (কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষা)/ Tier-I (Computer-Based Examination):
এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়। এটি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ) সহ একটি Objective Type পরীক্ষা। মোট চারটি বিভাগ তথা বিষয় রয়েছে যেখান থেকে প্রশ্ন তৈরি করা হবে। যথা,
- General Intelligence
- English Language
- Quantitative Aptitude
- General Awareness
প্রার্থীদের পরবর্তী পর্যায়ে অগ্রসর হওয়ার জন্য টিয়ার-১-এ উত্তীর্ণ হতে হবে।
ii. স্তর-২ (বর্ণনামূলক পেপার)/ Tier-II (Descriptive Paper):
- এটি একটি বর্ণনামূলক পেপার যা প্রার্থীদের লেখার দক্ষতা পরীক্ষা করে।
- প্রার্থীদের শব্দ সীমার মধ্যে একটি প্রবন্ধ এবং একটি চিঠি/আবেদন লিখতে হবে।
- টিয়ার-II প্রশ্নপত্র ইংরেজি বা হিন্দিতে থাকে। সেক্ষেত্রে প্রার্থীরা কোনটি নির্বাচন করবে সেটি তাদের ওপরে নির্ভর করছে।
- এই পর্যায়ের উদ্দেশ্য হল প্রার্থীর লেখার ক্ষমতা মূল্যায়ন করা।
iii. স্তর-৩ (স্কিল টেস্ট/টাইপিং টেস্ট) /Tier-III (Skill Test/Typing Test):
- যে প্রার্থীরা Tier-I এবং Tier-II তে উত্তীর্ণ হয় তারা Tier-III এর জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন।
- DEO পদের ক্ষেত্রে ডেটা এন্ট্রিতে একটি দক্ষতা পরীক্ষা (Skill Test) এর আয়োজন করা হয়। LDC/JSA পদের জন্য, Tier-III একটি টাইপিং পরীক্ষা নিয়ে গঠিত।
- কম্পিউটারে প্রার্থীদের টাইপিং স্পীড যাচাই করে নেওয়া হয়।
- যাইহোক, সবার শেষে চূড়ান্তভাবে নিযুক্ত হওয়ার জন্য প্রার্থীদের এই টাইপিং টেস্ট এ পাশ হতে হবে।
SSC CHSL পরীক্ষায় মূলত যেসব পদ রয়েছে সেগুলি হলো,
- লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক (LDC) / জুনিয়র সেক্রেটারিয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট (JSA): কেরানি এবং অফিস এর বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত।
- ডেটা এন্ট্রি অপারেটর (DEO): ডেটা এন্ট্রি তথা কম্পিউটার এর টাইপিং এর কাজ করে থাকে।
- পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট/সর্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট: ডাক পরিচালনা এবং মেল সাজানোর দায়িত্ব থাকে এদের।
2. এসএসসি মাল্টি-টাস্কিং স্টাফ (MTS):
এগুলি বিভিন্ন সরকারী বিভাগে অ-প্রযুক্তিগত পদ যা পিয়ন (peon), মালী (gardener), পরিচ্ছন্নতাকর্মী (cleaner) ইত্যাদি।
3. এসএসসি স্টেনোগ্রাফার (গ্রেড সি এবং ডি):
স্টেনোগ্রাফি এবং ট্রান্সক্রিপশন এর কাজের সঙ্গে যুক্ত।
এসএসসি স্টেনোগ্রাফার পদে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রার্থীর বয়সসীমা, বেতনক্রম এবং কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া ইত্যাদি নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীদের একটি স্বীকৃত বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যুনতম উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
বয়স সীমা: SSC স্টেনোগ্রাফার গ্রেড C পদে আবেদনের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীর ন্যুনতম বয়স হতে হবে 18 বছর। সর্বোচ্চ 30 বছর বয়সের প্রার্থীরা আবেদন যোগ্য। অন্যদিকে SSC স্টেনোগ্রাফার গ্রেড D পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীর বয়সসীমা হলো 18-27 বছর।
যাইহোক, বিভিন্ন রিজার্ভ তথা সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের জন্য বয়সের ছাড় প্রযোজ্য (যেমন, SC/ST, OBC, PwD)
মাসিক বেতন: এসএসসি স্টেনোগ্রাফার গ্রেড সি এবং ডি-এর বেতন পোস্ট এবং পোস্টিংয়ের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। বেতন কাঠামো সাধারণত 7 তম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন (CPC) এর বেতন স্তর 4 এর অধীনে পড়ে। সেক্ষেত্রে এই বেতনক্রম 5,200/- থেকে 20,200/- টাকা এবং গ্রেড পে সহ।
নিয়োগ প্রক্রিয়া: এসএসসি স্টেনোগ্রাফার গ্রেড সি এবং ডি পরীক্ষার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া নিম্নলিখিত ধাপগুলি নিয়ে গঠিত:
i.কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষা (CBT) – স্তর -১ /Computer-Based Examination (CBT) – Tier-I: এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়। এটি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ) সহ একটি বস্তুনিষ্ঠ ধরনের (Objective Type) পরীক্ষা। পরীক্ষায় তিনটি বিভাগ তথা বিষয় রয়েছে:
- সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও যুক্তি (General Intelligence & Reasoning)
- সাধারণ সচেতনতা (General Awareness)
- ইংরেজি ভাষা ও বোধগম্যতা (English Language & Comprehension)
প্রার্থীদের পরবর্তী পর্যায়ে অগ্রসর হওয়ার জন্য টিয়ার-১-এ উত্তীর্ণ হতে হবে।
ii.দক্ষতা পরীক্ষা (Skill Test): টিয়ার-১-এ যোগ্যতা অর্জনকারী প্রার্থীরা পরবর্তী ধাপে তথা দক্ষতা পরীক্ষার (Skill Test) জন্য যোগ্য।
স্টেনোগ্রাফার গ্রেড সি এর জন্য, প্রার্থীদের স্টেনোগ্রাফি পরীক্ষা দিতে হবে, যেখানে তাদের ইংরেজি বা হিন্দিতে একটি নির্দেশিত প্যাসেজ প্রতিলিপি করতে হবে।
স্টেনোগ্রাফার ডি গ্রেডের জন্য, প্রার্থীদের টাইপিংয়ে একটি দক্ষতা পরীক্ষা দিতে হবে।
iii.ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন: দক্ষতা পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের নথি যাচাইয়ের তথা ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এর জন্য ডাকা হয়। প্রার্থীদের সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার মার্কশিট, সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট ভালো।করে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সবশেষে তারা কর্মী পদে নিযুক্ত হয়।
4. CAPFs, NIA, SSF, -এ এসএসসি Constable (General Duty), আসাম রাইফেলস পরীক্ষায় রাইফেলম্যান (জিডি):
এটি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং আসাম রাইফেলে নিয়োগের জন্য।
5. এসএসসি জুনিয়র হিন্দি অনুবাদক, জুনিয়র অনুবাদক, সিনিয়র হিন্দি অনুবাদক, এবং হিন্দি প্রধ্যাপক পরীক্ষা:
অনুবাদ এবং ভাষা-সম্পর্কিত কাজ এর সঙ্গে যুক্ত।
6. এসএসসি নির্বাচনী পদ (অষ্টম পর্যায়) /SSC Selection Posts (Phase VIII):
এগুলি নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বিভিন্ন সরকারী বিভাগে বিভিন্ন পদে নিযুক্ত।
7. এসএসসি ক্যান্টিন অ্যাটেনডেন্ট:
সরকারী অফিসের কর্মীদের ক্যান্টিনের কাজ এর সঙ্গে যুক্ত।
8. এসএসসি টেকনিক্যাল অপারেটর, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত পদ:
এই পদগুলির জন্য উচ্চমাধ্যমিক পাশের পরেও উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হতে পারে, তবে এসএসসি কারিগরি ভূমিকার জন্যও নিয়োগ পরিচালনা করে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি (Indian Army Jobs)
1. সৈনিক (সাধারণ দায়িত্ব) /Soldier (General Duty): এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) উচ্চমাধ্যমিক পাস প্রার্থীদের জন্য সবচেয়ে সাধারণ প্রবেশ-স্তরের অবস্থানগুলির মধ্যে একটি। এই বিভাগের সৈন্যরা তাদের প্রশিক্ষণ এবং পরিষেবার অংশ হিসাবে বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব এবং কাজ সম্পাদন করে।
2. সৈনিক ট্রেডসম্যান (Soldier Tradesman): এই বিভাগে রাঁধুনি, দর্জি এবং আরও অনেক ট্রেড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রার্থীদের নির্দিষ্ট ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং তারা ট্রেডের সাথে সম্পর্কিত কাজগুলি সম্পাদন করে।
3. সৈনিক ক্লার্ক/স্টোর কিপার টেকনিক্যাল (Soldier Clerk/Store Keeper Technical): কেরানি এবং স্টোরকিপিং দায়িত্ব জড়িত। প্রার্থীরা রেকর্ড এবং প্রশাসনিক কাজ বজায় রাখার জন্য দায়ী।
4. সৈনিক প্রযুক্তি (Soldier Technical): অস্ত্র এবং সরঞ্জাম সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত ভূমিকা জড়িত। প্রার্থীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এবং সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ এবং অপারেটিং বিষয়ে কাজ করে।
5. সৈনিক নার্সিং সহকারী (Soldier Nursing Assistant): চিকিৎসা সহায়তা এবং সহায়তা প্রদানের জন্য দায়ী। প্রার্থীরা চিকিৎসা প্রশিক্ষণ পান এবং চিকিৎসা সুবিধায় কাজ করতে পারেন।
এই পদগুলির জন্য আবেদন করার জন্য, আপনাকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নজর রাখতে হবে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলি সন্ধান করতে হবে। নির্দিষ্ট কাজের ভূমিকার উপর নির্ভর করে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সাধারণত শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা, চিকিৎসা পরীক্ষা এবং লিখিত পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকে। বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং শারীরিক ফিটনেস মান সহ যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারি হাসপাতালে চাকরি (Govt Hospital Jobs)
আপনি যদি উচ্চমাধ্যমিক পাস করে থাকেন এবং সরকারি হাসপাতালে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে বেশ কিছু চাকরির সুযোগ রয়েছে।
1. স্টাফ নার্স (নার্সিং অফিসার): সরকারী হাসপাতালে স্টাফ নার্স হওয়ার জন্য আপনি দ্বাদশ পাশের পরে নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। কিছু হাসপাতালে নির্দিষ্ট নার্সিং নিয়োগ পরীক্ষাও আছে।
2. ল্যাব টেকনিশিয়ান: সরকারী হাসপাতাল প্রায়ই ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগ করে যারা মেডিকেল ল্যাবরেটরি প্রযুক্তিতে ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
3. রেডিওগ্রাফার (এক্স-রে টেকনিশিয়ান): একটি সরকারি হাসপাতালে রেডিওগ্রাফার হওয়ার জন্য, আপনাকে উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর রেডিওগ্রাফিতে ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হতে পারে।
4. ফার্মাসিস্ট: বিজ্ঞান শাখায় দ্বাদশ পাস করার পর, আপনি সরকারি হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট হওয়ার জন্য ফার্মেসিতে ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি নিতে পারেন।
5. ডায়েটিশিয়ান/নিউট্রিশনিস্ট: ডায়েটিশিয়ান এবং পুষ্টিবিদরা রোগীদের ডায়েটরি নির্দেশিকা প্রদান করেন। আপনার পুষ্টি এবং ডায়েটেটিক্সে ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা প্রয়োজন হতে পারে।
6. হাসপাতাল এটেনডেন্ট/ অর্ডারলি: এই অবস্থানগুলিতে সাধারণ হাসপাতালের রক্ষণাবেক্ষণের কাজগুলি জড়িত, যেমন পরিষ্কার করা এবং রোগীর যত্নে সহায়তা করা।
7. ওয়ার্ড বয়/গার্ল: ওয়ার্ডের ছেলেরা এবং ওয়ার্ডের মেয়েরা রোগীদের পরিচর্যা এবং হাসপাতালের ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সহ রোগীদের যত্নে সহায়তা করে।
8. মেডিকেল রেকর্ড টেকনিশিয়ান: এই ভূমিকায় রোগীর রেকর্ড পরিচালনা এবং স্বাস্থ্য তথ্য সিস্টেম বজায় রাখা জড়িত।
9. জুনিয়র ক্লার্ক/স্টেনোগ্রাফার: সরকারি হাসপাতালের কিছু প্রশাসনিক পদের জন্য কেরানি এবং সচিব দক্ষতার প্রয়োজন হতে পারে। উচ্চমাধ্যমিক পাশের পাশাপাশি কম্পিউটারের কাজে দক্ষ হতে হবে।
10. অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার/টেকনিশিয়ান: সরকারী হাসপাতাল প্রায়ই জরুরী চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ করে।
ডাক বিভাগে চাকরি (Post Office Jobs)
1. পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট:
ডাক সহায়ক তথা পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কর্মীরা পোস্ট অফিসে কেরানি এবং প্রশাসনিক কাজের জন্য দায়ী। তারা মেল বাছাই পরিচালনা করে, রেকর্ড বজায় রাখে এবং গ্রাহকদের ডাক পরিষেবায় সহায়তা করে।
2. সর্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট:
সর্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট তথা বাছাই সহকারীরা পোস্ট অফিসের বাছাই বিভাগে কাজ করে, দক্ষ বিতরণের জন্য মেল বাছাই এবং শ্রেণিবদ্ধ করে। ভারতীয় ডাক বিভাগ তথা ইন্ডিয়া পোস্ট এর পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সর্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড, বেতনের বিবরণ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া নিম্নরূপ আলোচিত।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারী প্রার্থীদের যেকোনো স্বীকৃত স্কুল বোর্ড কিংবা সংস্থা থেকে ন্যুনতম উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে থাকতে হবে।
বয়স সীমা: আবেদনকারী প্রার্থীদের বয়স হতে হবে 18-27 বছর বয়সের মধ্যে। সঙ্গে রিজার্ভ ক্যাটাগরি প্রার্থীদের বয়সে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে।
মাসিক বেতন: মাসিক বেতনক্রম 5,200/- থেকে 20,200/- টাকা পর্যন্ত। সঙ্গে গ্রেড পে যুক্ত থাকবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়া: ইন্ডিয়া পোস্ট পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সর্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট পদগুলোতে কর্মীদের বিশেষ কয়েকটি ধাপের মধ্যে দিয়ে নিযুক্ত করা হবে। যথা,
i. কম্পিউটার বেসড টেস্ট (CBT) – Tier – I: বিভিন্ন বিষয়ের ওপর MCQ প্রশ্ন নিয়ে একটি অবজেক্টিভ টাইপ প্রশ্নপত্র তৈরি করে নেওয়া হবে।
ii. কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষা (CPT): যে প্রার্থীরা Tier-I এ উত্তীর্ণ হবেন তারা কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষার জন্য যোগ্য হবেন। CPT ডেটা এন্ট্রি এবং কম্পিউটার অপারেশনে প্রার্থীর দক্ষতা মূল্যায়ন করে। এই পরীক্ষাটি যোগ্য প্রকৃতির (qualifying nature) এবং চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য বিবেচনা করার জন্য প্রার্থীদের এটি পাস করতে হবে।
iii. টাইপিং টেস্ট (টাইপিং স্পিড টেস্ট): সিপিটি-তে উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীদের একটি টাইপিং পরীক্ষা দিতে হতে পারে। টাইপিং পরীক্ষা প্রার্থীর টাইপিং গতি এবং নির্ভুলতা মূল্যায়ন করে। টাইপিং পরীক্ষার ভাষা (ইংরেজি বা হিন্দি) অঞ্চলের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
iv. ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন: পূর্ববর্তী বিভিন্ন ধাপ গুলোতে উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এর জন্য ডেকে নেওয়া হয়।
3. মাল্টি-টাস্কিং স্টাফ (MTS):
এমটিএস কর্মীরা অফিসের রক্ষণাবেক্ষণ, মেল ডেলিভারি এবং মৌলিক কেরানির কাজ সহ বিভিন্ন কাজ করে।
4. পোস্টম্যান/মেইল গার্ড:
পোস্টম্যানরা পরিবারের কাছে মেইল পৌঁছে দেওয়ার জন্য দায়ী। মেইল গার্ডরা পরিবহন তথা ট্রানজিটের সময় ডাকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
উপরের বিভিন্ন নিয়োগ তথা চাকরিতে আবেদনের জন্য আপনাকে অফিসিয়াল নোটিফিকেশন অর্থাৎ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক নিয়ম মেনে উপরোক্ত বিভিন্ন চাকরি তথা নিয়োগের আয়োজন করা হয়ে থেকে। অফিসিয়াল নোটিফিকেশনে নিয়োগ তথা চাকরির আরো বিস্তারিত খুঁটিনাটি ও বিবরণ জেনে নিতে পারবেন।
I’m very interested
Ivan intarested