West Bengal 10 Pass Govt Jobs

আপনি কি মাধ্যমিক পাশ প্রার্থী? পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক পাশে যেসব চাকরি রয়েছে | West Bengal 10 Pass Govt Jobs

পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক পাশ জোগ্যতায় যেসব সরকারি চাকরি (West Bengal 10 Pass Govt Jobs) রয়েছে তা নিয়ে আজ আমরা এখানে আলোচনা করতে চলেছি। আপনি যদি একজন চাকরি প্রার্থী হওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য রয়েছে নানান সরকারি চাকরির সুযোগ। রাজ্যের অনেক চাকরি প্রার্থী রয়েছেন যারা সরকারি চাকরি করতে ইচ্ছুক কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি না থাকার কারণে তারা সরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আজ আমরা পশ্চিমবঙ্গের এমন কিছু নিয়োগ তথা চাকরি নিয়ে আলোচনা করবো যেখানে আপনারা ন্যুনতম মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতায় আবেদন জানাতে পারবেন।

West Bengal 10 Pass Govt Jobs

পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক তথা দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য বিভিন্ন চাকরির সুযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নিয়োগ তথা চাকরি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

  • 1. পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কনস্টেবল পদ (West Bengal Police Constable Post)
  • 2. পোস্ট অফিস মাল্টি টাস্কিং স্টাফ (Post Office Multi Tasking Staff/MTS)
  • 3. পোস্ট অফিস GDS পদ (Post Office GDS Post)
  • 4. পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি (West Bengal Health Department Jobs
  • 5. পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনে চাকরি (Jobs in West Bengal Municipal Corporations)

উপরের এই চাকরি তথা পদ গুলোতে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রার্থীর বয়সসীমা, মাসিক বেতন ও নিয়োগ প্রক্রিয়া  ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ আলোচনা করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কনস্টেবল পদ (West Bengal Police Constable Post)

পদের বিবরণ

পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (West Bengal Police Recruitment Board) তথা WBPRB দ্বারা নিযুক্ত করা হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কনস্টেবল রাজ্যের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দায়ী। তাদের প্রাথমিক দায়িত্বগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • 1. টহল: অপরাধ প্রতিরোধ ও সনাক্ত করতে, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জরুরী পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে কনস্টেবলরা নির্দিষ্ট এলাকায় টহল দেয়।
  • 2. ট্রাফিক কন্ট্রোল: তারা ট্রাফিক প্রবাহ পরিচালনা করে, ট্রাফিক নিয়ম প্রয়োগ করে এবং রাস্তার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করে।
  • 3. ভিড় নিয়ন্ত্রণ: জনসাধারণের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, বিক্ষোভ বা সমাবেশের সময়, কনস্টেবলদের ভিড় ব্যবস্থাপনা এবং শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
  • 4. তদন্ত সহায়তা: কনস্টেবলরা প্রমাণ সংগ্রহ, সাক্ষীদের সাক্ষাত্কার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করে অপরাধ তদন্তে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সহায়তা করে।
  • 5. অপরাধ প্রতিরোধ: তারা সম্প্রদায়ের সাথে মিথস্ক্রিয়া, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান এবং কমিউনিটি পুলিশিং উদ্যোগে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করে।
  • 6. রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ: কনস্টেবল ঘটনাগুলি নথিভুক্ত করে, প্রতিবেদন তৈরি করে এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কিত রেকর্ড বজায় রাখে।
  • 7. গ্রেফতার: যখন প্রয়োজন হয়, তাদের আইন অনুযায়ী গ্রেফতার করার ক্ষমতা রয়েছে।
  • 8. আদালতে হাজিরা: কনস্টেবলদের আদালতে সাক্ষী হিসাবে হাজির হতে হতে পারে যে মামলায় তারা জড়িত ছিল।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে একজন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কনস্টেবলের নির্দিষ্ট দায়িত্বগুলি পরিস্থিতি এবং তাদের দেওয়া দায়িত্বের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল পশ্চিমবঙ্গে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

আপনাকে সাধারণত একটি স্বীকৃত বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক তথা দশম পরীক্ষা পাস করতে হবে।

বয়স সীমা

প্রার্থীদের বয়স সীমা সাধারণত 18 থেকে 27 বছরের মধ্যে। রিজার্ভ ক্যাটাগরি প্রার্থীদের সরকারি নিয়ম মেনে বয়সে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে।

বেতন

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কনস্টেবলের বেতন নিয়োগের সময় বেতন স্কেল এবং ভাতার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত, শুরুর রাজ্যে এই বেতনক্রম 22,700/- টাকা থেকে 58,500/- টাকার মধ্যে থাকে।

নির্বাচন প্রক্রিয়া

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগে পেতে গেলে প্রার্থীদের মূলত বেশ কয়েকটি ধাপের মধ্য দিয়ে যেতে হবে,

  • 1. প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষা (Preliminary Written Examination): প্রার্থীদের একটি লিখিত পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হতে হবে, যাতে বিভিন্ন বিষয়ে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQs) অন্তর্ভুক্ত থাকে।
  • 2. শারীরিক পরিমাপ পরীক্ষা / Physical Measurement Test (PMT): প্রার্থীদের উচ্চতা এবং ওজনের জন্য পরিমাপ করা হয় যাতে তারা প্রয়োজনীয় মান পূরণ করে।
  • 3. শারীরিক দক্ষতা পরীক্ষা / Physical Efficiency Test (PET): প্রার্থীদের শারীরিক পরীক্ষা যেমন দৌড়ানো এবং লম্বা লাফ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
  • 4. চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা (Final Written Examination): যারা PMT এবং PET তে যোগ্য তারা চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
  • 5. ইন্টারভিউ: প্রার্থীদের নিয়ে একটি ইন্টারভিউ তথা পার্সোনালিটি টেস্ট এর আয়োজন করা হবে। সেখানে তাদের পার্সোনালিটি তথা ব্যক্তিত্ব দেখে নেওয়া হবে।
  • 6. মেডিক্যাল চেক আপ/ টেস্ট (Medical Examination): প্রার্থীদের অবশ্যই একটি মেডিকেল চেক আপ তথা টেস্ট এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এবং এখানে দেখে নেওয়া হবে যে, প্রার্থীরা এই পদে কাজ করার জন্য উপযুক্ত কিনা।
  • 7. ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন: যোগ্যতা নিশ্চিত করতে প্রার্থীদের বিভিন্ন ডকুমেন্ট যেমন, তাদের নানান শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, মার্কশিট এবং আরও অন্যান্য ডকুমেন্ট দেখে নেওয়া হবে।

পোস্ট অফিস মাল্টি টাস্কিং স্টাফ (Post Office Multi Tasking Staff/MTS)

পদের বিবরণ

ভারতীয় ডাক তথা India Post এর মাধ্যমে মাল্টি টাস্কিং স্টাফ (MTS) কর্মীদের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত পোস্ট অফিসে নিয়োগ করা হয়। MTS কর্মীদের দায়িত্বে মূলত যেসব কাজ থাকে,

  • 1. চিঠিপত্র সাজানো এবং ডেলিভারি: এমটিএস কর্মীরা ইনকামিং এবং আউটগোয়িং মেল বাছাই করতে সহায়তা করে, নিশ্চিত করে যে এটি সঠিকভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে এবং বিতরণের জন্য রুট করা হয়েছে।
  • 2. চিঠিপত্র সংগ্রহ: তারা পোস্টবক্স এবং অন্যান্য সংগ্রহের পয়েন্ট থেকে চিঠিপত্র ​​সংগ্রহ করে, নিশ্চিত করে যে সমস্ত চিঠি সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং হিসাব করা হয়েছে।
  • 3. পার্সেল হ্যান্ডলিং: এমটিএস কর্মীরা পার্সেল এবং প্যাকেজগুলি পরিচালনা করে, যার মধ্যে রয়েছে বাছাই, প্রক্রিয়াকরণ এবং প্যাকেজগুলি তাদের উদ্দেশ্য গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া।
  • 4. অফিস রক্ষণাবেক্ষণ: ডাকঘর তথা পোস্ট অফিস এর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এবং রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজে বিশেষ সহায়তা করে।
  • 5. রেকর্ড রাখা: MTS কর্মীরা রসিদ, ডেলিভারি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সহ মেল তথা চিঠিপত্র এবং পার্সেল হ্যান্ডলিং সম্পর্কিত রেকর্ড বজায় রাখে।
  • 6. গ্রাহক পরিষেবা: তারা তথ্য সরবরাহ করে, ডাকটিকিট বিক্রি করে এবং ডাক পরিষেবা সম্পর্কে অনুসন্ধানে সহায়তা করে ডাক অফিসে গ্রাহকদের সহায়তা করে।
  • 7. লোডিং এবং আনলোডিং: এমটিএস কর্মীরা যানবাহন থেকে মেলব্যাগ, পার্সেল এবং অন্যান্য ডাক সামগ্রী লোড এবং আনলোড করার সাথে জড়িত থাকতে পারে।
  • 8. নিরাপত্তা: চুরি বা ক্ষতি রোধ করতে তারা ডাক এবং ডাক সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
  • 9. অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ: এমটিএস কর্মীদের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বও অর্পণ করা হতে পারে, যেমন ডেটা এন্ট্রি, ফাইলিং এবং প্রাথমিক অফিসের কাজ ইত্যাদি।

ইন্ডিয়া পোস্ট এমটিএস-এর নির্দিষ্ট দায়িত্ব তাদের নিয়োগ এবং ডাক বিভাগের মধ্যে অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। মেইল প্রসেসিং এবং ডেলিভারি অপারেশনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে ভারতের ডাক পরিষেবার দক্ষ কার্যকারিতায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

প্রার্থীদের একটি স্বীকৃত বোর্ড থেকে দশম তথা মাধ্যমিক পাস করে থাকতে হবে।

বয়স সীমা

আবেদনকারী প্রার্থীর ন্যুনতম বয়স হতে হবে 18 বছর। সর্বোচ্চ 25 বছর অব্দি প্রার্থীরা আবেদন যোগ্য। SC/ST/OBC প্রার্থীদের বয়সে ছাড় রয়েছে।

বেতন

ইন্ডিয়া পোস্ট MTS-এর বেতন স্থান এবং বেতন কমিশনের সুপারিশের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। প্রতি মাসে মূল বেতন গড়ে 18,000/- টাকা থেকে শুরু হতে পারে।

নিয়োগ প্রক্রিয়া

ডাক বিভাগের এই MTS পদে কর্মীদের বেশ কয়েকটি ধাপের মধ্য দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে,

  • 1. লিখিত পরীক্ষা (Computer Based Test): আবেদন জমা পড়ার পর প্রার্থীদের সবার প্রথমে একটি লিখিত পরীক্ষা তথা Computer Based Test (CBT) এর জন্য ডেকে নেওয়া হয়। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়।
  • 2. ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন: লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হয়। সেখানে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, মার্কশিট ও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট যাচাই করে নেওয়া হয়।
  • 3. চূড়ান্ত মেধা তালিকা তথা মেরিট লিস্ট তৈরি:  লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মেধা তালিকা তথা মেরিট লিস্ট তৈরি করা হয়। এবং যোগ্য প্রার্থীদের বেছে কর্মী পদে নিযুক্ত করা হয়।

পোস্ট অফিস GDS পদ (Post Office GDS Post)

পদের বিবরণ

ইন্ডিয়া পোস্ট তথা ভারতীয় ডাক এর মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন পোস্ট অফিসে গ্রামীণ ডাক সেবক (GDS) কর্মীদের নিয়োগ করা হয়। এই GDS কর্মীরা ভারতের গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন ডাক ও সংশ্লিষ্ট পরিষেবার জন্য দায়ী। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে:

  • 1. মেইল বা চিঠিপত্র ডেলিভারি: গ্রামীণ পরিবার এবং ব্যবসায়িকদের কাছে চিঠি, পার্সেল এবং অন্যান্য ডাক আইটেম সহ মেল বিতরণের জন্য প্রাথমিকভাবে জিডিএস কর্মীরা দায়ী।
  • 2. স্ট্যাম্প বিক্রয়: তারা গ্রাহকদের কাছে ডাকটিকিট, পোস্টাল স্ট্যাম্প এবং অন্যান্য ফিলাটেলিক সামগ্রী বিক্রি করে।
  • 3. আর্থিক পরিষেবা: GDS কর্মীরা মৌলিক আর্থিক পরিষেবাগুলি যেমন সেভিংস অ্যাকাউন্ট পরিচালনা, পুনরাবৃত্ত আমানত অ্যাকাউন্ট এবং ইন্ডিয়া পোস্ট দ্বারা অফার করা অন্যান্য ছোট সঞ্চয় স্কিম প্রদান করতে পারে।
  • 4. গ্রামীণ পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স (RPLI): তারা গ্রামীণ পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসিগুলির জন্য আবেদনগুলি প্রচার করে এবং পরিচালনা করে, গ্রামীণ বাসিন্দাদের বীমা-সম্পর্কিত পরিষেবাগুলিতে সহায়তা করে৷
  • 5. গ্রামীণ ডাক সেবা কেন্দ্র (GDSK): কিছু কিছু ক্ষেত্রে, GDS কর্মীরা গ্রামীণ এলাকায় গ্রামীণ ডাক সেবা কেন্দ্র চালাতে পারে, যেটি বিভিন্ন ধরনের ডাক পরিষেবা প্রদান করে মিনি পোস্ট অফিস হিসেবে কাজ করে।
  • 6. গ্রাহক সহায়তা: তারা গ্রাহকদের অনুসন্ধান, ঠিকানা পরিবর্তন, মেইলের পুনঃনির্দেশ, এবং অন্যান্য ডাক-সম্পর্কিত পরিষেবাগুলিতে সহায়তা করে।
  • 7. ডেলিভারি রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ: জিডিএস কর্মীরা ডাক ক্রিয়াকলাপে নির্ভুলতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে মেল তথা চিঠিপত্র বিতরণ এবং সংগ্রহের রেকর্ড বজায় রাখে।
  • 8. কমিউনিটি আউটরিচ তথা প্রচার: GDS কর্মীরা প্রায়ই গ্রামীণ এলাকায় সরকারি স্কিম, ভোটার রেজিস্ট্রেশন এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের উদ্যোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • 9. অন্যান্য ডাক পণ্য বিক্রি: তারা অন্যান্য ডাক পণ্য যেমন ফর্ম, মানি অর্ডার বিক্রি করতে পারে এবং বিভিন্ন ফর্ম পূরণে সহায়তা প্রদান করতে পারে।
  • 10. ভিলেজ তথা গ্রামীণ লেভেল ব্যাঙ্কিং: কিছু ক্ষেত্রে, জিডিএস কর্মীরা গ্রাম পর্যায়ে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলিকে সহজতর করতে পারে, যার মধ্যে পেনশন, ভর্তুকি, এবং অন্যান্য সরকারী আর্থিক সুবিধা বিতরণ করা হয়।

ইন্ডিয়া পোস্ট তথা ভারতীয় ডাক এর গ্রামীণ ডাক সেবক তথা GDS কর্মীরা প্রত্যন্ত এবং অনুন্নত গ্রামীণ এলাকায় ডাক ও আর্থিক পরিষেবা প্রসারিত করতে, শহুরে ও গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যবধান পূরণে এবং গ্রামীণ বাসিন্দাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং যোগাযোগ অ্যাক্সেসে অবদান রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

প্রার্থীদের একটি স্বীকৃত বোর্ড থেকে দশম তথা মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হতে হবে। কিছু জিডিএস পদের জন্য প্রার্থীদের স্থানীয় ভাষার জ্ঞান থাকতে হবে। 

বয়স সীমা

GDS পদে আবেদনের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স হতে হবে 18-40 বছর বয়সের মধ্যে। সরকারি নিয়ম মেনে রিজার্ভ ক্যাটাগরি প্রার্থীরা বিশেষ ছাড় পাবেন।

বেতন

ইন্ডিয়া পোস্ট গ্রামীণ ডাক সেবকদের বেতন পোস্টাল সার্কেল এবং নির্দিষ্ট পোস্ট অফিসের অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। যাইহোক, কর্মীদের GDS পদে নিযুক্ত করার পর মাসিক বেতন 10,000/- টাকা করে প্রদান করা হয়।

নির্বাচন/ নিয়োগ প্রক্রিয়া

নিম্নে প্রদত্ত ধাপগুলোর মাধ্যমে প্রার্থীদের কর্মী পদে নিযুক্ত করা হয়। উল্লেখ্য, এখানে কোনো রকম পরীক্ষা নেওয়া হয় না।

  • 1. মেধা-ভিত্তিক নির্বাচন (Merit-Based Selection): প্রার্থীদের তাদের দশম তথা মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেরিট লিস্ট তথা মেধা তালিকা তৈরি করে নির্বাচিত করা হয়। GDS নিয়োগের জন্য কোন লিখিত পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকার তথা ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করা হয়না।
  • 2. ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন: মেধা তালিকা তথা মেরিট লিস্ট এ নাম আসার পর প্রার্থীদের সরাসরি ডেকে নেওয়া হয় ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এর জন্য। সেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিভিন্ন ডকুমেন্ট, বয়সের প্রমাণপত্র, কাস্ট সার্টিফিকেট (যদি থাকে) ইত্যাদি ভেরিফাই করে প্রার্থীদের সরাসরি কর্মী পদে নিযুক্ত করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি (West Bengal Health Department Jobs)

পদের বিবরণ

পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগে বেশ কয়েক ধরনের পদ রয়েছে যেখানে মাধ্যমিক পাশ করা প্রার্থীরা চাকরির জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। যেমন,

  • গ্রুপ-ডি কর্মী (Group-D Staff)
  • অ্যাটেনডেন্ট
  • ওয়ার্ড বয়/ গার্লস ইত্যাদি

প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা

যেকোনো স্বীকৃত বোর্ড কিংবা ক্ষেত্র থেকে ন্যুনতম মাধ্যমিক পাশ করে থাকতে হবে। কিছু কিছু পদের ক্ষেত্রে পদ সম্পর্কিত বিশেষ যোগ্যতা তথা অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।

প্রার্থীর বয়সসীমা

আপনার বয়স ন্যুনতম 18 বছর হলেই আবেদন জানাতে পারবেন। সর্বোচ্চ 40 বছর বয়সের প্রার্থীরা আবেদন যোগ্য।

মাসিক বেতন

বিভিন্ন পদের ক্ষেত্রে মাসিক বেতনক্রম বিভিন্ন থাকে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়োগের অফিসিয়াল নোটিফিকেশন প্রকাশ পাওয়ার পর বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া

বিশেষ কয়টি ধাপের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের যেতে হয় কর্মী পদে নিযুক্ত হওয়ায় জন্য। যেমন,

  • 1. আবেদন জমা: সংশ্লিষ্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তথা নোটিফিকেশন প্রকাশ পাওয়ার পর নির্দিষ্ট পদ বেছে সেই পদের জন্য অনলাইন কিংবা অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন জমা করতে হয়।
  • 2. লিখিত পরীক্ষা/ ইন্টারভিউ: আবেদনকারীর সংখ্যা এবং নিয়োগকারী সংস্থার মনোভাবের ওপর নির্ভর করে এটি। এক্ষেত্রে যদি আবেদনকারী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে প্রার্থীদের সবার প্রথমে একটি লিখিত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, তারপর হবে ইন্টারভিউ। অন্যদিকে, আবেদনকারী প্রার্থীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলে প্রার্থীদের কোনো রকম লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়না, তারা সরাসরি ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেয়ে থাকেন।
  • 3. ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন: ইন্টারভিউয়ের পর প্রার্থীদের যাবতীয় ডকুমেন্ট যেমন, শিক্ষাগত যোগ্যতার ডকুমেন্ট এবং অন্যান্য আরো ডকুমেন্ট ভালো করে যাচাই তথা ভেরিফাই করে নেওয়া হয়।
  • 4. মেডিক্যাল চেক আপ (Medical Examination): উপরের ধাপগুলি সম্পন্ন করার পর সবার শেষে প্রার্থীদের ডেকে নেওয়া হয় মেডিক্যাল চেক আপ তথা টেস্ট এর জন্য। সেখানে ভালো করে যাচাই করা হয় যে, প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট পদে আবেদনের জন্য যোগ্য কিনা।

পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনে চাকরি (Jobs in West Bengal Municipal Corporations)

পদের বিবরণ

দশম পাশে পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে বেশ কয়েক ধরনের চাকরির সুযোগ রয়েছে। এদের মধ্য রয়েছে যেমন, কেরানি পদ (Clerical Positions), গ্রুপ-ডি স্টাফ (Group-D Staff) সহ অন্যান্য আরো কিছু পদ।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

প্রার্থীরা ন্যুনতম দশম তথা মাধ্যমিক পাস করে থাকলেই উপরোক্ত পদের জন্য আবেদন জানাতে পারেন।

প্রার্থীর বয়সসীমা

এক্ষেত্রে আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স হতে হবে 18-40 বছর বয়সের মধ্যে। রিজার্ভ ক্যাটাগরি প্রার্থী যেমন, SC/ST/OBC প্রার্থীরা বয়সে বিশেষ ছাড় পাবেন।

মাসিক বেতন

বেতন নির্দিষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে পদ অনুযায়ী বেতনক্রম ভিন্ন থাকবে। সংশ্লিষ্ট নিয়োগের  অফিসিয়াল নোটিফিকেশন প্রকাশ পেলে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া

পদ অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া একটু ভিন্ন হলেও মোটামুটি সব পদের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ নিয়োগ পদ্ধতি মেনে চলা হয়।

  • 1. লিখিত পরীক্ষা: আবেদন জমা পর প্রার্থীদের একটি সাধারণ লিখিত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ের নির্ভর করে একটি অবজেক্টিভ টাইপ প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়।
  • 2. ইন্টারভিউ: লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হলে প্রার্থীরা  পরবর্তী ধাপে তথা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেয়ে থাকেন। উল্লেখ্য, আবেদনকারী প্রার্থীদের সংখ্যা বেশি হলেই প্রথমে লিখিত পরীক্ষা তারপর ইন্টারভিউ সংঘটিত হয়। এবং আবেদনকারী প্রার্থীর সংখ্যা যদি কম হয় সেক্ষেত্রে নিয়োগকারী সংস্থা কোনো রকম লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করে থাকেন।
  • 3. ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন: ওপরের ধাপগুলিতে উত্তীর্ণ হলেই প্রার্থীরা সবার শেষে ডাক পান ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এর জন্য। এখানে প্রার্থীদের সমস্ত ডকুমেন্ট এক এক করে এবং ভালো করে যাচাই করে নেওয়া হয়।

এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে আরো অনেক চাকরির সুযোগ রয়েছে যেখানে মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতায় আবেদন জানাতে পারবেন। কিন্তু এখানে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ তথা চাকরি সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে উপরোক্ত এই পদগুলোর নিয়োগ নিয়মিত হয়ে থাকে। তাই এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। অফিসিয়াল নোটিফিকেশন তথা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপরে উল্লিখিত বিভিন্ন ক্ষেত্র ও পদে কর্মী নিয়োগ করা হয়। ভবিষ্যতে এসব পদের নিয়োগের যাবতীয় আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে পারেন।

Similar Posts

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *